নরসিংদী থেকে এম. শরীফ হোসেন : শনিবার (৩০ এপ্রিল) ২৯ রমযানের বিজোর রাত্রীর তারাবির নামাযের সময় নরসিংদী সদর উপজরলার আমদিয়া ইউনিয়নের ডহরীর টেক গ্রামে আতশবাজি ফোটানোকে কেন্দ্র করে এক হামলা সংঘর্ষের ঘটনায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ৩জন আহত হবার খবর পাওয়া গেছে।
জানাগেছে, ঘটনার রাত্রী পৌনে ১২ টার দিকে ইউনিয়নের ডহরীর টেক গ্রামে তারাবির নামাযকালে আতশবাজি ফোটায় বরদিয়া গ্রামের কয়েকজন যুবক। এতে নামায আদায়ে মুসল্লীদের অসুবিধে হচ্ছে বলে পার্শ্ববর্তী ডহরীরটেক গ্রামের লোকজন আতশবাজি ফোটানোর প্রতিবাদ করলে দু’পক্ষের মাঝে কথাকাটি ও পরে তা সংঘর্ষের রুপ নেয়। এসময় বরদিয়া গ্রামের ফজলুল হক পিতা-বেরাইল্লা, মামুন (১৮) পিতা-ফজলুল হক,আবু মিয়া (২২), পিতা-করিমুল্লা, সুজন পিতা-নজু মিয়া, সানোয়ার, পিতা – আতা, মোজাম্মেল পিতা-নইমুদ্দিন, সেলিম পিতা -ফজলুল হক, সজিব পিতা-ফজলুল হক, কয়নাল পিতা – শহীদ ও অজ্ঞাত কয়েকজনের স্বশস্ত্র হামলায় ডহরীরটেকের সাখাওয়াত (৩৩) পিতা-কুরবান আলী(জয়েন্ট ম্যানেজার ন্যাশনাল ব্যাংক,নরসিংদী শাখা), ফজলে রাব্বী(২৬) পিতা- আনোয়ার হোসেন (কাপর ব্যবসায়ী সেখেরচর বাজার), পিতা-রোমান মিয়ার ছেলে মশিউর রহমান অভি (২৫)( শিক্ষার্থী, ঢাকা ইউনিভার্সিটি) এলোপাথাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় আহতদের নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে আহত দুজন’কে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তি করানো হয় এবং ঢাকা ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী মশিউর রহমান অভি’র(২৫) অবস্থা গুরুতর হবার কারনে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে জেলা পুলিশ নরসিংদীর পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম(পিপিএম) এর নির্দেশনা মোতাবেক জেলা পুলিশ নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান সদর হাসপাতাল নরসিংদীতে গিয়ে আহত রুগিতেদের সাথে কথা বলেন এবং আহত ব্যাক্তিদের স্বজনদের তাৎক্ষনিক ব্যাবস্থা নেয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন ও ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠিয়ে দেন।
অপরদিকে, এঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে তাৎক্ষনিকভাবে এলাকা হতে কয়নাল নামে একজন’কে গ্রেফতার করে পুলিশ।